নীলফামারীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা। পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফল আবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, সুস্বাদু এবং রসালো ফল। এক সময় নীলফামারীতে মাল্টা চাষ হতো না। কিছু ব্যবসায়ী মাল্টা আমদানি করে নীলফামারীতে বিক্রি করত। বেলে, দোআঁশ ও উঁচু জমি মাল্টা চাষের উপযোগী।
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামে সড়কের পাশে প্রায় তিন একর জমিতে গড়ে উঠেছে মাল্টা বাগান। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ ফলের চাষ করেছেন মনিরুজ্জামান (রাজু)। মাল্টার কারণেই সেই মোড়টির নাম দেওয়া হয়েছে মাল্টার মোড়। মাল্টার বিভিন্ন জাত দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান। তাঁর বাগান থেকে মাল্টা নীলফামারীসহ বাইরের জেলায়ও যাচ্ছে।
পৈতৃক জমিতে প্রায় ৫ লাখ টাকা দিয়ে ২০১৮ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে ফলের চারা সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন ফলের বাগান। রাজুর বাগানে সিকি মোসাম্বি, বারী-১, বারী-২, ইএলও-২-সহ ১১ জাতের মাল্টা রয়েছে। বাগানেই প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। বেশির ভাগ মাল্টা বাইরে পাঠানো হচ্ছে কুরিয়াড়ে।
রাজু অর্গানিক গার্ডেন অ্যান্ড নার্সারির উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান (রাজু) বলেন, চাকরি না পেয়ে বাগান করি। ২০১৮ সালে মাল্টার বাগান শুরু করি। ২০১৯ সালে কিছু কিছু গাছে ফল আসে। ২০২০ সালে খুব ভালো ফল হয়। বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।
মাল্টার বাগান দেখতে আসা জাভেদ আলী বলেন, বাগানটি অনেক সুন্দর। এখান থেকে আমরা মাল্টা কিনে নিয়ে যাব। নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, রাজুকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছেন। তাঁর কাছ থেকে চারা নিচ্ছেন। রস, রং, স্বাদ যেন বজায় থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছি।