গোপালগঞ্জে লোকলজ্জায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মুকসুদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১)। তিনি স্থানীয় মাদ্রাসার সুপার ও মসজিদের ইমাম। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে। ধর্ষণের শিকার রুপা আক্তার (১৪) ওই মাদ্রাসার পঞ্চম জামাতের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা মাদ্রাসা সুপার মাহমুদুল হাসান ও শিক্ষিকা খাদিজা বেগমকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, মাদ্রাসা সুপার ও শিক্ষক খাদিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীর লাশ পাঠানো হয়েছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। জানা যায়, ২৬ নভেম্বর মাদ্রাসা ছুটির পর সুপার ওই শিক্ষার্থীকে তার কক্ষ ঝাড়ু দিতে বলেন। মেয়েটি রুমে গেলে সুপার তাকে ধর্ষণ করেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন শিক্ষক খাদিজা বেগম। গত বৃহস্পতিবার মেয়েটি তার মা-বাবাকে ঘটনা জানায়। তারা সালিশ-বৈঠকের জন্য অন্যদের জানালে অপমান, ক্ষোভ ও লজ্জায় ওই দিনই মেয়েটি নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়ে লজ্জা-অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। অমি বুকের ধন হারিয়েছি। তিনি অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।