জেলার বোচাগঞ্জে তুলাই খালের ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়ে আছে আট বছর ধরে। ভেঙে যাওয়া সেতুর দুই পাশের পাকা সড়ক থাকলেও চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউপির বড়য়া গ্রামের তুলাই খালের ওপর নির্মিত সেতু ২০১৭ সালের প্রবল বন্যায় পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিকল্প পথে তাদের প্রায় ৫-৬ কি.মি. রাস্তা ঘুরে পুলহাট, মাধবপুর, বোচাগঞ্জ শহর বা জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বেশি হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, ২০১৭ সালের বন্যায় বড়য়া সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকেই বোচাগঞ্জের আটগাঁও ইউপির গঙ্গাপুর, বড়য়া, বন্ধুগাঁও, মালগাঁও ও নেহালগাঁও গ্রামের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, অসুস্থসহ হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভাঙা সেতুর উভয় পাশের্^ পাকা রাস্তা থাকলেও শুধু সেতুর অভাবেই রাস্তাটি কোনো কাজে আসছে না। এক সময়ের ব্যস্ত সড়কটি সুনসান নীরব রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বড়য়া গ্রামের শাহিনুর ইসলাম জানান, প্রায় আট বছর আগে বড়য়া সেতু ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এ এলাকার স্কুল, কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বিকল্প পথে বোচাগঞ্জ বা দিনাজপুর যাতায়াত করতে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখিনি।
বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জিবরীল আহাম্মদ জানান, আমরা বড়য়া ভাঙা সেতু মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।