হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে নারী উদ্যোক্তা মেলায় আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই দল যুবকের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় শায়েস্তানগর ও মোহনপুর গ্রামের যুবকদের মধ্যে এ সংঘর্র্ষ বাধে। এ সময় কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, শায়েস্তানগরের মহব্বত কনভেনশন হলে নারী উদ্যোক্তা মেলায় আতশবাজি ফোটায় একদল যুবক। এ ঘটনায় মোহনপুর গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শায়েস্তানগর ও মোহনপুর গ্রামের যুবকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আহতদের জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পরকীয়ার জেরে সংঘর্ষে প্রেমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেশীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আয়নাল হক (৪৫)।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, তাড়াশের দেশীগ্রাম উত্তরপাড়ার বাহের আলীর মেয়ে সাকিরুন খাতুনের (৩৫) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কানপুরপাড়ার বাদশা শেখের ছেলে আয়নাল হকের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তারা দুজনই বিবাহিত। এ ঘটনায় সাকিরুনের পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও আয়নাল হক কর্ণপাত করেনি। এ অবস্থায় বুধবার বিকালে আয়নাল হক সাকিরুনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাবা ও ভাইদের সঙ্গে কথাকাটি হয়। পরে আয়নাল লোকজন নিয়ে সাকিরুনের বাড়িতে হামলার জন্য গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত আয়নালকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে সে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দুই ভাই আমির হোসেন (৪০) ও নুরুল হককে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।