আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরে এ বছর পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবু হতাশ চাষিরা। বাজারে মিলছে না ন্যায্যমূল্য। উৎপাদন ব্যয়, শ্রমিক মজুরি ও সার-কীটনাশকের দাম বহন করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। হাকিমপুর উপজেলার পান চাষিরা জানান, লাভতো দূরের কথা পান বিক্রি করে ঘরভাড়া ও বরজের খরচই ওঠে না। শ্রমিক খরচ, সার-ওষুধ দিয়ে কিছুই থাকে না। চাষিদের আশা, সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিলে আবারও লাভের মুখ দেখবে এ অঞ্চলের হাজারো পরিবার।
বরজে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, চাষিরা ভালো নেই। এ কারণে তারাও নিয়মিত মজুরি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকেন। পান চাষিরা আয় না করলে আমরাও টিকে থাকতে পারব না। মাধবপাড়া গ্রামের পান চাষি মাইদুল শেখ বলেন- সার, কীটনাশক, সেচ আর শ্রমিকের মজুরি সবই বেড়েছে। আগে যে পানে ৫০ টাকা পাওয়া যেত, এখন তা ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে খরচও উঠছে না।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, পোকা-মাকড় দমনসহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা নিয়মিত দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর। বরজে কোনো রোগবালাই দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দামের বিষয়টি ডিমান্ড আর সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করে।
কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ নজরদারি করছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দিনাজপুরের হাকিমপুরে ৪০ হেক্টর জমিতে পান আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫৪০ মেট্রিক টন।