গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর চরে চাষাবাদের ধুম পড়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বিভিন্ন স্থানে আবাদ হয়েছে আলু, বেগুন, মরিচ, ছিটা পিঁয়াজ, আদা, রসুন, শিম, ধনেপাতা, গাজর, কপি, মুলা, লাউ, গম, তিল, তিশি, সরিষা, ভুট্টা। ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
হরিপুর চরের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তার চরে দুই বিঘা জমিতে আলু, তিন বিঘায় বেগুন ও ২০ শতক জমিতে ধনেপাতা চাষ করেছি। ফলন ভালো হলে খরচ বাদ দিয়ে এ মৌসুমে ১ লাখ টাকা আয় হবে। শুধু আনছার আলী নন ওই এলাকার কৃষক হাবিবুর, রহিম, খায়রুল বললেন একই কথা। তারা বলেন, যেটুকু জমিতে আবাদ করেছি ফলন ভালো হলে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হবে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তিস্তার চরাঞ্চল এখন কৃষি জোনে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক ফসল বাজারে উঠতে শুরু করেছে। অনেকে নতুন করে চাষাবাদ করছেন। চরের কৃষকের একটাই দুঃখ উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ, বাজারে সরবরাহ এবং প্রক্রিয়াজাত করণের কোনো ব্যবস্থা নেই। সে কারণে চাষিরা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে পারছেন না। মোজাহারুল ইসলাম আরও বলেন, তিস্তার চরাঞ্চলে যেসব ফসল উৎপাদন হয় তাতে ২-৩টি হিমাগার প্রয়োজন। অথচ সুন্দরগঞ্জে আছে মাত্র একটি হিমাগার। তা ছাড়া যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় চরাঞ্চল থেকে কৃষক উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারে নিতে পারছেন না। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির বলেন, তিস্তার চরাঞ্চলের মাটিতে পলি জমায় অনেক উর্বর। রাসায়নিক সার ছাড়াই বিভিন্ন ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্টা, গম, আলু, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, সরিষা, তিল, তিশিসহ শাকসবজি চাষ বেশি হচ্ছে।