রাজবাড়ীতে চলছে মুড়িকাটা পিঁয়াজ আবাদ। চলতি বছর পিঁয়াজের বীজের দাম কিছুটা কম হলেও স্বস্তি নেই কৃষকের। সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন চাষিরা। তবু পিঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পিঁয়াজ উৎপাদনে দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রাজবাড়ী। সারা দেশের মোট উৎপাদনের ১৪ শতাংশ হয় এ জেলায়। চলতি বছর ৫ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে ৯৩ হাজার টন মুড়িকাটা পিঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বেজকোলা ও মাশালিয়া মাঠে গতকাল দেখা যায় বিভিন্ন উঁচু জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ আবাদ চলছে। পদ্মার চরের বরাট, উড়াকান্দায় মুড়িকাটা পিঁয়াজের গাছ পরিচর্যা করছেন কেউ কেউ। বেজকোলা গ্রামের কৃষক আক্কাস মৃধা বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার গুটি পিঁয়াজের দাম কিছুটা কম। তবে সার ও কীটনাশকের দাম প্রতি বস্তায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। কীটনাশকের দামও বাড়তি। ঠিকমতো সারও মিলছে না।’
কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাসেম বলেন, ‘আমাদের মাঠ মূলত পদ্মার তীরে। বেশির ভাগ জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজের আবাদ হয়ে গেছে। আমরা এখন পরিচর্যা করছি। দ্বিতীয় দফায় সারের প্রয়োজন হয়। বাজারে সারের দাম বেশি। কোনো দোকানে সার কিনতে গেলে ভাউচার দেয় না। বেশি টাকা দিয়ে আমাদের সার কিনতে হয়।’
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মুড়িকাটা পিঁয়াজ আবাদ হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এর ফলন তোলা যায়। এ সময় পিঁয়াজের দাম তাই বেশি। লাভের আশায় চাষিরা এ জাতে ঝুঁকছেন।’ সারের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজবাড়ীতে কোনো সারসংকট নেই। কিছু জায়গায় দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। ডিলাররা কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।’