হিমাগারে বিপুল পরিমাণ মজুত আর গত মৌসুমের লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আবার আলু আবাদ শুরু করেছেন বগুড়ার চাষিরা। ভালো ফলন আর ন্যায্যমূল্য পেলে ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন আশা তাদের। গত বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ আলু এখনো হিমাগারে পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাজারে দাম কম থাকায় হিমাগার থেকে অনেকে সেভাবে আলু তোলেনি। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বগুড়ায় গত বছর ৬০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ফলন পাওয়া গেছে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ২১ দশমিক ৬ টন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ২৩ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় আলুর দাম কমে লোকসানের মুখে পড়েন কৃষক। বিভিন্ন উপায়ে আলু সংরক্ষণ করা হলেও দাম আর বাড়েনি। বিপুল পরিমাণ আলু এখনো হিমাগারে রয়েছে। চাষিরা যখন আলু নিয়ে চিন্তিত তখন চলতি মৌসুমে জেলায় চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৯২৫ হেক্টর। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চাষ শেষ হবে। চলতি মৌসুমে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭০ হাজার মেট্রিক টন। সদর, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। হিমাগার মালিকরা বলছেন, আলু বের না হলে তারাও ক্ষতির মুখে পড়বেন। জেলায় বেশির ভাগ হিমাগারে প্রায় ৪০ শতাংশ আলু পড়ে আছে। চাষি ও ব্যবসায়ীরা আলু উত্তোলন করছেন না। আলুর দাম এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে হিমাগার ভাড়া পরিশোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। চাষিরা বলছেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার বীজ আলুর দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে সার, সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচও। লাভ কম হওয়ার আশঙ্কা তাদের। গত বছর উৎপাদন থেকে শুরু করে হিমাগারে রাখা পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুতে খরচ পড়েছে ২৪-২৬ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১২-১৫ টাকায়। তারা বলেন- আলু হিমাগারে রাখা হয় লাভের আশায়। এই আলু বিক্রি করে পরবর্তী ফসল উৎপাদনের আর্থিক জোগান আসে। এবার তো সবই লোকসান। সদর উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকার আলু চাষি জহুরুল ইসলাম জানান, গত বছর আলু বিক্রি করে লাভ পাওয়া যায়নি। সারা বছর দাম বাড়বে এ আশায় থাকলেও আলুর দাম আর বাড়েনি। তবু জমি ফেলে না রেখে কিছু আগাম ও মৌসুমের মিলিয়ে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
বগুড়া - গত বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ আলু এখনো হিমাগারে, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর