সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট চলছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় অন্য বিষয়ের ওপর ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থা শুধু সদর হাসপাতালে নয়, জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই। এদিকে কর্মস্থল জেলা সদরের বাইরে হওয়ায় অনেক চিকিৎসকের সেখানে যথেষ্ট সময় দেন না, বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক ইউএসসি কেন্দ্রের চিকিৎসককে চেনেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা এলাকাবাসী। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব, পদ শূন্য ও ইউএসসিতে কর্মরত চিকিৎসকরা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ জনপদের সাধারণ মানুষ। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরা বক্ষব্যাধী ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউএসসি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ২১৮টি চিকিৎসকের পদ। এর মধ্যে ১৪৪টি পদ শূন্য। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ ২৭টি। এর মধ্যে ১১ পদ শূন্য। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনটি পদ থাকলেও দুটি শূন্য। জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের দুটি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট, বক্ষের পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য। দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২টি চিকিৎসকের পদ। এখানে জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, শিশু, অর্থ, কার্ডিও, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌন, শিশু, আরএমও, ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার দুজন, সহকারী সার্জনসহ ১৭ পদই শূন্য। শামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের মধ্যে ১৭ পদ শূন্য। আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১০টি পদের বিপরীতে ছয়টি পদ শূন্য। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি শূন্য। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের মধ্যে ১৫টি শূন্য। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১০টি পদের মধ্যে পাঁচটি শূন্য রয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা চলছে অন্য বিষয়ের ডাক্তার দিয়ে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, দিনে একবার ডাক্তার এসে রোগী দেখে চলে যান। পরে সেবিকারা চিকিৎসা প্রদান করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আজগর জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে আছি। কিন্তু ডক্টর না থাকায় ফিরে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর অভিভাবকরা জানান এখানে শিশু বিশেষজ্ঞ নেই। এ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আমার বাচ্চার। কিন্তু কোনো পরিবর্তন আসেনি, শ্বাসকষ্ট বেড়েই চলেছে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান বলেন, সদর হাসপাতাল ১০০ বেডের। এখানে ১০০ থেকে ১২০ রোগী প্রতিনিয়ত ভর্তি থাকে। শিশু বিশেষজ্ঞ, সার্জারি বিশেষজ্ঞের অভাব আছে। তার পরেও আমরা যথাযথ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই সেসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তারা এর সমাধান করবেন।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা
সাতক্ষীরা
চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
দুর্ভোগে রোগী ও স্বজনরা বেশি ভোগান্তি শিশুদের নিয়ে
মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর