বগুড়ায় আমন ও রবিশস্য উৎপাদন মৌসুমে তীব্র হয়েছে সারসংকট। কৃষকের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ-অসন্তোষ। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে ঘুরে যতটুকু সার তারা পান তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। একদিকে ডিলারের কাছে সার মিলছে না, অন্যদিকে খোলা বাজারে কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বিএডিসি ও বিসিআইসি দুটি প্রতিষ্ঠানে সারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া ৯৩ হাজার ৯৩৪ মেট্রিক টন, টিএসপি ২৫ হাজার ৮৭, ডিএপি ৪৫ হাজার ৮৪৬ ও এমওপি ৩৬ হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন। গত সেপ্টেম্বর মাসেই ইউরিয়ার চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৮৯৩ মেট্রিক টন, টিএসপি ১ হাজার ৪০০, ডিএপি ২ হাজার ৫৩ ও এমওপি ২ হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন। বর্তমানে মজুত আছে ৪ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন সার। এ সার সরকার ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে। সারের কোনো সংকট নেই। জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে জেলাজুড়ে ডিএপি সারের সংকট থাকলেও এখন ইউরিয়া মিলছে না চাহিদামতো। কিছু উপজেলায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ শুরু হওয়ায় সারের চাহিদা বেড়েছে। সার সংকট নিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। চাষিদের অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী কৃষকদের সার না দিয়ে মুনাফার লোভে খুচরা বিক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। দিনের পর দিন ডিলার পয়েন্টে সারের জন্য ধরনা দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে কিছু সার মিললেও তা চাহিদার বিপরীতে একেবারেই কম। সারের অভাবে দুর্বল হচ্ছে রোপা আমন, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ। কৃষকরা জানান, সরকার ইউরিয়া ও টিএসপি প্রতি কেজি ২৭, এমওপি ২০ এবং ডিএপি ২১ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই মূল্য শুধুই কাগজে-কলমে। বাজারের চিত্র ভিন্ন। খুচরা বিক্রেতারা সার সংকট দেখিয়ে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রি করছেন। বগুড়া বাফার (বিসিআইসি) ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, জেলায় গত সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৯৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ডিলার রয়েছেন ১৬৩ জন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী ডিলারদের কাছে সার সরবরাহ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার বরাদ্দ কম। কৃষকরা জানান, পর্যাপ্ত সার কোথাও পাচ্ছেন না তারা। সামান্য কিছু ইউরিয়া সার অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করতে হয়। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও খোলা বাজারে বেশি দামে এ সার কিনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) বগুড়া ইউনিট সভাপতি মোরশেদ মিল্টন জানান, দেশের সর্বত্র চাহিদার তুলনায় সার কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। জেলায় সার সংকট হলে বিএফএ দায়ী থাকবে না। কারণ আমরা যথাযথ বরাদ্দ পাইনি।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা