রাজধানীর দোয়েল চত্বরের পাশে জাতীয় তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে চলছে অসামাজিক কাজ, মাদক সেবন ও কারবার। এখানে অবাধ চলাফেরা মাদকসেবীদের। কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালালেও চিত্র পাল্টায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাও দৃশ্যমান। ঐতিহাসিক স্থানটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করারও যেন কেউ নেই। মাজারের চারপাশে লোহার রড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছিল। সরেজমিন দেখা যায়, রডগুলো মাদকসেবীরা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন। মাজারের পশ্চিম পাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী খুলে নেওয়া হয়েছে। তিন নেতার মাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন কেয়ারটেকার থাকলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাজারের চারপাশে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, ফেনসিডিলের বোতল। তিন নেতার মাজারের পাশে কথা হয় মাদকসেবী ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আনিসুল হকের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিটা অপকর্মের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন জড়িত। এর ভাগ চলে যায় ওপর মহল পর্যন্ত। সুতরাং এমনটা চলতেই থাকবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএমপিটি) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও সচেতন হতে হবে। মাদকের সহজলভ্যতা যত বাড়বে ততই শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়বে। মাদক দ্রুত একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।’ শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই অভিযান চালাচ্ছি। আটক করছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ জাতীয় তিন নেতার মাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের গণপূর্ত বিভাগের। এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঢাকা ডিভিশন-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া কর্মকর্তাদের ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করলে দেখা যায় বেশির ভাগ নম্বরই ভুল অথবা ব্যবহার করছেন অন্য কেউ। নির্বাহী প্রকৌশলীর ফোন নম্বরে কল করা হলে জানা যায় নম্বরটি ১০ বছর ধরে ব্যবহার করছেন টাঙ্গাইলের গৃহিণী পপি আক্তার।