প্রমোশন, চলতি দায়িত্ব ও পিডি নিয়োগ নিয়ে খুলনা ওয়াসায় হুলুস্থুল কাণ্ড তৈরি হয়েছে। যোগদান ছাড়পত্র জটিলতায় ২৩ দিনেও কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান। এর মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেস-২-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগে তোড়জোড় চলছে। ওয়াসার কয়েকজন বোর্ড সদস্য ও কর্মকর্তা ওয়াসার প্রমোশন, চলতি দায়িত্ব ও পিডি নিয়োগে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ, প্রশাসনিক কাজের বিঘ্নতা ও সাধারণ গ্রাহকরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশক্রমে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানকে খুলনা ওয়াসার এমডি হিসেবে পদায়ন করেন। গতকাল পর্যন্ত ছাড়পত্র জটিলতায় তিনি কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, তার যোগদানে বিলম্বের মাঝেই তাড়াহুড়ো করে প্রমোশন, চলতি দায়িত্ব ও পিডি নিয়োগ দিতে দৌড়ঝাঁপ করছে একটি চক্র। পিডি নিয়োগের ক্ষেত্রে চতুর্থ গ্রেডের নির্বাহী প্রকৌশলী হওয়ার কথা থাকলেও খুলনা ওয়াসার ষষ্ঠ গ্রেডে কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলামের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা অপচয়, বিধি লঙ্ঘন করে সরাসরি নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগসহ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ওয়াসার একজন বোর্ড সদস্য এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে দেনদরবার করছে বলে জানা গেছে।
পিডি নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ মন্ত্রণালয় থেকে হয়। এ ক্ষেত্রে বোর্ডে চেয়ারম্যানের ভূমিকা সীমিত
ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
যুগ্ম সচিব, খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান
খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের (পরিকল্পনা) যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, পিডি নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ মন্ত্রণালয় থেকে হয়। এক্ষেত্রে বোর্ডে চেয়ারম্যানের ভূমিকা সীমিত। তিনি বলেন ৪ ডিসেম্বর খুলনা ওয়াসার বোর্ড মিটিংয়ে পদায়নের পরও এমডি কেন যোগ দিচ্ছেন না জানার চেষ্টা করব।
অপরদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, খুলনা ওয়াসা পিডি নিয়োগের বিষয়টি তার দপ্তরে নয়, বরং বোর্ড চেয়ারম্যানই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
তবে খুলনা ওয়াসার দায়িত্বরত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, পিডি হওয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তা হতে হবে। আইন লঙ্ঘণ করে কাউকে সুপারিশ করা হবে না।