টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে সংজ্ঞায়িত দুর্নীতি ও দুর্নীতির সহায়তা করার অপরাধে জড়িত ছিলেন। সুতরাং তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন বা আনা অভিযোগে তিনি নির্দোষ এ ধরনের দাবি করার কোনো ভিত্তি নেই। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় এসব জানানো হয়েছে। দুদক বলছে, সাম্প্রতিক সংবাদমাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার ও রায়ের বিষয়ে যে প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে, তা তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা দাখিল করা সব অভিযোগপত্র ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করেছি।
মামলার নথিপত্র থেকে দেখা যায়, প্রতিটি মামলাই মূলত অভিযোগ করে যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তান ও আত্মীয়দের নামে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে টিউলিপ সিদ্দিক জড়িত ছিলেন। একাধিক মামলার মধ্যে একটিতে আরও উল্লেখ আছে যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার খালার দায়িত্বকালেই টিউলিপ সিদ্দিক নিজেও একটি অতিরিক্ত প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের সদস্যরা বিচার এড়াতে দেশত্যাগ করেছেন।
তিনটি মামলার মধ্যে প্রথমটির বিচার শেষ হয়েছে এবং সেখানে টিউলিপ সিদ্দিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তার খালাকে প্রভাবিত করে তার মায়ের এবং ভাই-বোনদের জন্য প্লট সংগ্রহের অপরাধে।
রাষ্ট্রপক্ষ মোট ৩২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। এদের মধ্যে কয়েকজন শপথ নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন যে- টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি তার খালার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, নিজের প্রভাব খাটিয়ে সংশ্লিষ্ট প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। তাদের জবানবন্দি এবং মামলার বিভিন্ন পরিস্থিতিগত প্রমাণ, যার মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা এবং তার ভাই-বোনদের নামে বরাদ্দ হওয়া বিভিন্ন প্লট অন্তর্ভুক্ত প্রমাণ করে যে তিনি শুধু ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া মামলাই নয়, আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে প্লট বরাদ্দে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন।