খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের জায়গা নির্বাচন নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলামের পেটে কাটার দিয়ে (কাগজ বা বোর্ড কাটা ছুরি) আঘাত করা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টল-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কাজী সাদিক মাহমুদ ও জহিরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জহিরুলের পেটে কাটার দিয়ে আঘাত করেন।
সহপাঠীরা দ্রুত তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. মাকসুদ হেলালীর উপস্থিতিতে সমন্বয় সভায় অভিযুক্ত কাজী সাদিক মাহমুদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি জখম শিক্ষার্থীর সব চিকিৎসা খরচ বহন, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
কুয়েট রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।