বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রতিষেধক নকল ফ্লু ভ্যাকসিনের কারণে প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা। নকল ফ্লু ভ্যাকসিন দিয়ে রোগের উপশম হচ্ছে না।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুব আলম মির্জা বলেন, অনেকেই জানতে চান ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়া কমছে না। এর মধ্যে ইনফ্লুভেক্স টেটরা ভ্যাকসিনের একটি প্যাকেট নিয়ে আসেন এক রোগী। প্যাকেট দেখে সন্দেহ হয়। প্যাকেট খোলার পর দেখতে পান ভয়েলে যে পরিমাণ ওষুধ থাকার কথা তার চেয়ে বেশি। প্রতিটি প্যাকেটে শিশুদের জন্য কমলা ও বড়দের জন্য কালো রঙের দুটি নিডেল থাকে। কিন্তু তার কাছে নিয়ে আসা প্যাকেটে শুধু কমলা রঙের নিডেল ছিল। ডা. মাহবুব আলম মির্জা বলেন, তার হাতে পাওয়া ভ্যাকসিন কোথাও ব্যবহার করা হয়েছিল।
সেই প্যাকেট সংগ্রহ করে নকল ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হয়েছে। কালো রঙের নিডেল না পাওয়ায় দেওয়া হয়নি। প্যাকেট সংগ্রহ করে ভিতরে ওষুধের জায়গায় অন্য কিছু দিয়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের উচিত ভ্যাকসিন প্যাকেটের স্টিকারটা ওয়ান টাইম করার। কারণ এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ভিতরে পানি ঢুকিয়ে স্টিকারটা আবার নতুনের মতো লাগিয়ে দেওয়া যায়। শুধু ব্যবহৃত একটা নিডেলের স্টিকার ফের লাগানো সম্ভব না।
ডা. মাহবুব আলম মির্জা বলেন, একটি ভ্যাকসিন একবার দিলে এক বছরে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বর্তমানে শীত মৌসুমে এ ভ্যাকসিনের চাহিদা বেশি। একটি ভ্যাকসিনের দাম ৯৫০ টাকা। নকল ভ্যাকসিনে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ব্যয় হয়। তাই নকল বেশি হচ্ছে।