রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) হলে র্যাগিং করায় তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে নয় শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যমতে বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ১২ শিক্ষার্থী সরাসরি বা পরোক্ষভাবে র্যাগিংয়ে জড়িত ছিলেন।
সে অনুযায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন ও রাফি আহমেদকে দুই এবং আজিজুল হাকিমকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে জড়িত যে নয় শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে তারা হলেন মনিরুজ্জামান, গোলাম মোর্শেদ তামি, মেঘনাথ রায়, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান শাকিল, সুজন মিয়া, আকরাম আলি, ফাহিম ইসলাম ও ফরাদ হোসেন। তাদের ইতোমধ্যে সতর্কীকরণ নোটিস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘র্যাগিং ও যৌননিপীড়নের বিষয়ে বেরোবি প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ২৪ ঘণ্টার নোটিসে তদন্ত কমিটি গঠন করি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর শৃঙ্খলা কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়।’