ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রায় ৩৬০ শতক জমি নদী ভাঙন ও বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চর শিবপুর মৌজার হালে বাদিয়ামারা চরের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিও একই ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ দলের একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর চর কেটে প্রতিদিন প্রায় ডজন খানেক নৌকায় মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপনে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে সোবাহানিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব ৩০০ শতাংশ জমি ও চরের বিস্তীর্ণ ভূমি দ্রুত ভাঙনের মুখে পড়েছে। গোপনে মাটিখেকোদের মাটি কেটে নেওয়ার সংবাদ পেয়ে গতকাল মাদ্রাসার শিক্ষকমণ্ডলী ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে পরিদর্শন করেন। তারা ডজন খানেক মাটি কাটার বোট ও শতাধিক শ্রমিককে মাদ্রাসার জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে নৌকাসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল মাওলানা রুহুল আমীন আবদুল্লাহ, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্য শিক্ষকরা। মাওলানা রুহুল আমীন আবদুল্লাহ বলেন, এ জমি শুধু মাদ্রাসার নয় এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবৈধ মাটি ব্যবসার নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে একটি কুচক্রী মহল সংগঠিতভাবে মাদ্রাসা ও সরকারি জমি কেটে মাটি ইটভাটায় সরবরাহ করছে।
সোবহানিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোশাররফ হোসেন রিপন বলেন, মাটিখেকো একটি সন্ত্রাসী চক্র বহু বছর ধরে মাদ্রাসা ও সরকারি জমির মাটি লুট করে আসছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বাঞ্ছারামপুর প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা বলেন, আমি আজ বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি।