শীতের আবহ কাটিয়ে গায়ে মাখা রোদ তখন কেবল শরীরে লাগতে শুরু করেছে। বাড়ির কিছু কাজ শেষ করে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার পাঁচ গ্রামের ২ শতাধিক নারী জমায়েত হয়েছেন হরিপুর গ্রামে। সবাই বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ নিতে এসেছেন।
সুদ কিংবা সার্ভিস চার্জ নেই, এমনকি জামানতের প্রয়োজন হয় না। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্য ফেরাতে প্রায় দুই দশক ধরে এমনই মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গতকাল কুমিল্লার হোমনায় পাঁচটি গ্রামের ২০১ জন নারীর মাঝে বিতরণ করা হলো ৩২ লাখ টাকার ঋণ। সুদ ও শর্তহীন এই ঋণ সহায়তা পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের জীবনে ফিরেছে সচ্ছলতা। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় ৮০তম ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন ও ময়নাল হোসেন চৌধুরী। এর আগে এখানকার অনেক নারী মহাজন বা এনজিওর চড়া সুদের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। তবে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত এই ঋণ তাদের জীবনে এনে দিয়েছে স্বস্তি, বদলে দিয়েছে জীবনযাত্রার মান। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ঋণ নিতে আসা নারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত ও জামানতবিহীন এ ধরনের ঋণ দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান আপনাদের জীবনমান উন্নয়নে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ নিয়ে আপনারা সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবেন, এটাই আমাদের চাওয়া। এ টাকার কেউ অপব্যবহার করবেন না। টাকাগুলো সঠিক ব্যবহার করে আপনার সুন্দর জীবনযাপন করুন, এই শুভকামনা রইল।’ ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খুঁজে বের করে গ্রামের দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণ দেয় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। এমন মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়, যারা এ টাকাগুলো সঠিক কাজে লাগাতে পারেন। ২০০৫ সাল থেকে চলমান সুদমুক্ত ও জামানতবিহীন এই ঋণ কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছেন হোমনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার হাজারো মানুষ। এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬৫১টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবার এ সহায়তা পেয়ে অর্জন করেছেন স্বাবলম্বিতা।