ছয় দফা দাবিতে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জেও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা টানা সাতদিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কর্মবিরতির সপ্তম দিনে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন সংশ্লিষ্টরা। এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন।
আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
১. ১৪তম গ্রেড প্রদান
২. শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক সংযোজন
৩. নিয়োগবিধি সংশোধন
৪. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ
৫. টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান
৬. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উচ্চতর গ্রেড প্রদান
কর্মবিরতির মাঝেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাকসুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাহা আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম সাহ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ পরিণীতা দাসসহ মণিরা আক্তার, সেলিনা আক্তার, আজমুদা আক্তার, সজীব মীর ও মহাদেব বাবু।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাকসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এবং এসব ক্লিনিকে সেবা দিতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী পদে মোট ৭০ জন কর্মরত। কর্মবিরতির কারণে মা ও শিশুদের টিকাদান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, এবং জীবনযাপন আচরণ পরিবর্তনমূলক সেবা পুরোপুরি ব্যাহত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ