বন্দর রক্ষার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্ট। একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
ওই সকল কর্মসূচিতে ‘যমুনা’ অভিমুখে বামপন্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে- গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশী হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। দমন-নির্যাতন করে বামপন্থীদের বন্দর রক্ষার আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না। নিউমুরিং টার্মিনালসহ লাভজনক বন্দর টার্মিনাল বিদেশি কম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বামপন্থি দলগুলো আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদাক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শামীম ইমাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, বাসদ (মাহবুব) সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসু, সোস্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য করিম সিকদার, জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রজত হুদা প্রমুখ।
এদিকে বিদেশি কম্পানির কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে ও বন্দর রক্ষার দাবিতে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে হাইকোর্ট, পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি। এর আগে বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও অপর যুগ্ম সমন্বয়কারী আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ