বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জুনিয়র এক শিক্ষার্থী সিনিয়রদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের (র্যাগিং) অভিযোগ এনে উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। রবিবার এই অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগকারী আল শাহারিয়ার মোহাম্মদ মুস্তাকিম মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভিযোগে তিনি ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাফিজ ফারদিন আকন্দ সপ্নীল, মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন, ইমন মাহমুদ, নেহাল আহমেদ ও মিরাজকে অভিযুক্ত করেছেন।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, ২৬ নভেম্বর রাতে সিনিয়রদের নির্দেশে রুপাতলী হাউজিং মাঠে ডাকা হয় ২৮ জন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে। পরে বাসে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় নেহাল আহমেদের টোল প্লাজার কাছে অবস্থিত বাসায়। সেখানে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তুলে দরজা আটকে দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের মোবাইলসহ সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, সপ্নীল জঘন্য ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করতে বাধ্য করেন। তা না করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। কাঁদলে ফ্লোরে বসে ১০ মিনিট কান্না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জুনিয়রদের দিয়ে আপত্তিকর দৃশ্যের অভিনয়ও করানো হয়। শামীম লাঠি নিয়ে ভয় দেখালে অভিযোগকারী হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, প্রস্রাবের কথা বলায় বোতলে করতে বলা হয়। এছাড়া শার্ট খুলে কুকুরের মতো বিস্কুট চেটে খেতে বাধ্য করা হয়, যা শিক্ষার্থীটির ওপর গুরুতর মানসিক নির্যাতন হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শামীম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা পিকনিক করছিলাম, একটু রাগারাগি হয়েছে। র্যাগিং করা হয়নি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিংয়ের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক