আগামীর কৃষিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নিরাপদ ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা ও প্রোবায়োটিক প্রযুক্তি: ফসল উৎপাদনে গ্রিনহাউস গ্যাস কমিয়ে কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসের নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের অর্থায়নে এবং প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য হলো আধুনিক কৃষিকে আরও পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া। সারের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভিদ-প্রোবায়োটিকভিত্তিক রাইজো-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি কীভাবে ফসল উৎপাদনে গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে পারে এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে পারে তা কৃষক, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তায় সারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও ফসলে প্রোবায়োটিক প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমানে অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এ প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা পাওয়া সম্ভব যা দেশের কৃষির জন্য এক মাইলফলক অর্জন হবে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ