ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনলাইন কনটেন্ট আইন না মানায় ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বের নাম টুইটার)–কে ১২০ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার ইইউর প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই সিদ্ধান্ত জানায়। এটি তাদের নতুন ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) অনুযায়ী প্রথম বড় শাস্তি।
ইইউ জানায়, এক্স অবৈধ ও ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া নীল ব্যাজ (ব্লু চেকমার্ক) প্রদর্শনের পদ্ধতিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিজ্ঞাপনের তথ্যভান্ডার পরিষ্কার নয় এবং গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যও প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করেনি। এসবই আইন লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত।
টিকটকও একই আইনের আওতায় তদন্তের মুখে পড়ে। তবে কিছু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তারা জরিমানা এড়িয়েছে।
ইইউর প্রযুক্তি প্রধান হেনা ভিরক্কুনেন বলেন, শাস্তির উদ্দেশ্য সেন্সরশিপ নয়, বরং অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তার ভাষায়, আইন মানলে কোনো জরিমানা নেই—ব্যাপারটা খুব সহজ। তিনি আরও জানান, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর তদন্তের রায় ভবিষ্যতে আরও দ্রুত দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্স–এ মন্তব্য করে বলেন, ইইউ অযথা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে। তবে ইউরোপীয় কমিশন বলছে, আইন কোনো দেশের কোম্পানিকে আলাদা করে টার্গেট করে না; বরং ডিজিটাল নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
মেটা, টিকটক এবং চীনা প্ল্যাটফর্ম টেমু–র বিরুদ্ধেও ডিএসএ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এক্স এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিএসএ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিশ্বব্যাপী আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। এই জরিমানাকে তাই ভবিষ্যতের জন্য বড় সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছে বিশ্লেষকরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল