শুধু জাতীয় দল নয়। হামজারা লাল-সবুজের জার্সি পরায় বাংলাদেশের ফুটবলে হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে। অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছে বাংলাদেশের কিশোররা। একের পর এক জয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে তারা। গতকাল বাহরাইনকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসরে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে তারা। চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট তারপর আবার প্রতিপক্ষের জালে ২০ গোল। নিজেরা হজম করেছে এক গোল। সত্যিই এ এক অসাধারণ নৈপুণ্য। তবে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে কি না তা নির্ভর করছে চীনের বিপক্ষে ম্যাচের ওপর।
পূর্ব তিমুরকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বাংলার কিশোরদের যাত্রা। এরপর ব্রুনাইয়ের জালে আট, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ গোল। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা ছিল সমান শক্তিশালী। গতকাল চীনের ইয়ং চুয়ান স্পোর্টস সেন্টারে ‘এ’ গ্রুপের খেলায় শুরু থেকে উভয় দলই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত ছিল। বাহরাইন আবার রক্ষণের দিকেও বেশি মনোযোগী ছিল। তারা চেয়েছিল কাউন্টার আক্রমণে গিয়ে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলা। চেষ্টাও চালিয়েছিল। তবে সফল হয়নি। বাংলাদেশের রক্ষণভাগ প্রতিটি ম্যাচেই দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। টানা তিন ম্যাচে জালে বল জড়ায়নি।
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য থেকে যায়। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখতে জয় ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তাও ছিল না। গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ফয়সালরা। শেষ পর্যন্ত ৫৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। মধ্য মাঠের খেলোয়াড় বায়োজিদ বোস্তামির গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজের দল। ৭২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ মানিক। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জালে বল পাঠান তিনি। এ গোলে জয় অনেকটা নিশ্চিত হলেও ৮৫ মিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে। বাহরাইনের জুহাইর ইব্রাহিম গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরার আশা দেখান। বাংলাদেশও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল। অন্যদিকে রক্ষণভাগের অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে বাহরাইন ম্যাচে সমতা ফিরতে পারেনি। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা। রবিবার বাংলাদেশ ও চীন আসরে অলিখিত ফাইনালে মুখোমুখি হবে। যারা জিতবে তারাই আগামী বছরের মে-তে সৌদি আরবে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে।
১৬ দল নিয়ে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ চূড়ান্ত পর্ব। এরই মধ্যে ৯ দল মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। বাকি সাত দল যাবে বাছাইপর্ব থেকে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারেনি।