শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, বাংলাদেশের সেকেন্ডারি ও প্রাথমিক শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে কোথায় অবস্থান করছে, তা জানতে সরকার ইতোমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন কাঠামোর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমরা হয়তো নিচের দিকেই থাকব, তাতে সমস্যা নেই। অন্ততপক্ষে জানবো আমরা কোথায় আছি, কী ঠিক করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে যে উদ্বেগ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান, তা কাটাতে বাস্তবসম্মত ও নির্মোহ মূল্যায়ন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। অভিভাবক, শিক্ষক সকলেই শিক্ষার মানের অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বুধবার রাজধানীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বহু উদ্যোগ নেওয়া হলেও গ্রাসরুট পর্যায়ের বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও গভীরভাবে বুঝতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ নীতিমালার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
পূর্ববর্তী সময়ে ফলাফল প্রকাশের ভুল সিদ্ধান্তগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, পরীক্ষা না নিয়ে নম্বর দেওয়া ছিল অগ্রহণযোগ্য। এটি শিক্ষাব্যবস্থাকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।
অধ্যাপক ড. সি আর আবরার জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের রিডিং ক্যাপাসিটি, গণিতে সক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা রয়েছে। এগুলোকে আরও বড় পরিসরে মূল্যায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ