শুধু রুপি আর রুপি! এক এক করে রুপিভর্তি ট্রাংক এনে ঘরের মেঝেতে ঢালা হচ্ছে। এরপর চলছে তা গণনার কাজ। চারদিকে গোল হয়ে বসে সেই রুপি গোনা চলছে। এর জন্য ৩০ জন মানুষকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫, ১০, ১৫, ২০, ৫০, ১০০, ২০০-এর পাশাপাশি ৫০০ রুপির নোটও জমা পড়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করেন ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রস্তাবিত এ বাবরি মসজিদ নির্মাণে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি রুপি। এরই মধ্যে বাবরি মসজিদের জন্য মুক্ত হস্তে দান করার আহ্বান জানিয়েছেন এই বিধায়ক। সেই লক্ষ্যে বাবরি মসজিদ ট্রাস্টের অফিসিয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও স্ক্যানার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে হুমায়ুন কবীর লিখেছিলেন, ‘যারা দান করতে চান, নিচের যে কোনো মাধ্যমে দান পাঠাতে পারবেন। আল্লাহ আপনাদের দান কবুল করুন।’ এরপরই যে যার সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করতে থাকেন। শুধু অনলাইন বা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নয়, অর্থ সহায়তার জন্য ‘দান বাক্স’ রাখা হয়েছিল। গত রবিবার হুমায়ুন কবীরের রেজিনগরের বাড়িতে এক এক করে রুপি ভর্তি ১১টি দান বাক্স খোলা হয়। ঘরের মেঝেতে ফেলে শুরু হয় গণনার কাজ। এজন্য ৩০ জন লোককে যেমন নিয়োগ দেওয়া হয়, তেমনি গণনায় গতি আনতে রুপি গোনার মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে।
নিজের ফেসবুকে রুপি গোনার সেই দৃশ্য লাইভ করে দেখিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাতে তিনি লেখেন, ‘শনিবার বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যেসব ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দু-হাত ভরে নগদ অর্থ দান করেছেন সেসব দান সম্মানীয় আলেম-উলামাদের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া সেসব দানের অর্থ গণনা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।’ ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙ্গায় পবিত্র বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ৮০ কোটি রুপি দান করবেন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। বাবরি মসজিদ নির্মাণে যে অর্থের অভাব হবে না তা আগেই জানিয়েছিলেন এই বিধায়ক। এদিকে দান বাক্সের রুপি ছাড়াও শুধু অনলাইনে অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট ব্যাংকের স্ক্যানার ব্যবহার করে ৯৩ লাখ রুপি জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর।