দেশে গত নভেম্বরে ৪৫ জন নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাসে মোট নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮১ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার এসব নারীর মধ্যে নারী ও কন্যাশিশুদের মধ্যে ২৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৯ জন কন্যাশিশুসহ ১৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আর ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে একজন কন্যাশিশু ও তিনজন নারী। আর পাঁচজন কন্যাসহ সাতজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে সাতজন কন্যা ও ৪৬ জন নারীসহ মোট ৫৩ জন হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে চারজন কন্যা ও ২১ জন নারীসহ ২৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৯ জন কন্যা ও পাঁচজন নারীসহ ১৪ জন আত্মহত্যার শিকার হয়েছে, এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে দুজন কন্যাসহ তিনজন। যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে আটজন কন্যা ও তিনজন নারীসহ মোট ১১ জন। এর মধ্যে সাতজন কন্যাসহ ৯ জন যৌন নিপীড়নের শিকার, একজন কন্যাসহ দুজন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন কন্যাসহ দুজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে তিনজন নারী। ছয়জন কন্যাসহ সাতজন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ছয়জন কন্যাসহ ১২ জন।
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন কন্যাসহ ১৩ জন। ফতোয়া ঘটনার শিকার হয়েছে একজন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে একজন কন্যার। যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার হয়েছে চারজন নারী। এ ছাড়াও পাঁচজন কন্যাসহ আটজন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।