চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি বিপুল পরিমাণ বাংলা মদ, বন্যপ্রাণী শিকারের অস্ত্র, অন্যান্য আলামতসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। আটক ব্যক্তির নাম সুমন চাকমা। জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিজ নেওয়া বখতিয়ার ফকিরস্থ জমিতে বসবাস করছিলেন তিনি। গোয়ালঘরের পেছনের লম্বা বারান্দাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে মদ তৈরির কারখানা পরিচালনা করতেন সুমন।
সোমবার গভীর রাতে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে গ্রিনহাউস এলাকার ব্রিজসংলগ্ন একটি টিনঘরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননের নেতৃত্বে নিরাপত্তা টিম এতে অংশ নেয়।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন জানান, ‘বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এলাকার পুকুরপারে বহিরাগতদের বারবার যাতায়াত ও কিছু শিক্ষার্থীর সন্দেহমূলক উপস্থিতির কারণে নজরদারি বাড়ানো হয়। কয়েক দফা রেকি শেষে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় ৩০ লিটার সদ্যঃপ্রস্তুত গরম মদ, ৫ লিটার ডেক্সি, ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত বোতল, মদ তৈরির সরঞ্জাম এবং মদ বিক্রির হিসাবসংবলিত একটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আলামত জব্দ করে সুমনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী হত্যা এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।’ সহকারী প্রক্টর জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের লিজকৃত জমিতে অবৈধ কার্যক্রম চালানোর ঘটনায় সুমনের লিজ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অনুমতিহীনভাবে গাছ কাটার অভিযোগেও তাকে আর্থিক জরিমানা করা হবে।’ এদিকে অভিযোগ রয়েছে সুমন চাকমা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গল থেকে বন্য শূকর, হরিণ, বন্য মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী শিকার করতেন এবং তাদের মাংস বিক্রি করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীও তার কাছ থেকে নিয়মিত মদ কিনতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।