ভোলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে, পেরেক দিয়ে খুঁচিয়ে, সবশেষে পায়ের রগ কেটে সেলিম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। সেলিম ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাওলা গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশাচালক।
তার স্ত্রী রেখা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সেলিম আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। দুই মাস আগে আনোয়ার, সিরাজ, রায়হানসহ একটি প্রভাবশালী মহল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করে। গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রাম থেকে তজুমদ্দিন আসেন। বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা পথ থেকে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর নির্যাতনের পর গুরুতর অবস্থায় বাড়ির নিকটস্থ একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। রবিবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
রেখা বেগম অভিযোগ করেন, একই এলাকার মুজাম্মেলের ছেলে আনোয়ার, সিরাজ, রায়হান, রশিদের ছেলে রহিম এবং বায়জিদ ও নীরব মিলে চুরির অপবাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তার দুই পায়ের রগ কাটা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত ও ক্ষত ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়। তজুমদ্দিন থানার ওসি মহব্বত খান জানান, সেলিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।