১১ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেল নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে নরওয়ের অসলোতে একটি হোটেলের বারান্দায় সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। জানুয়ারির পর এটাই ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি।
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেও দেরিতে নরওয়ে পৌঁছানোর কারণে আনুষ্ঠানিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি মাচাদো। তাই তার অনুপস্থিতিতেই পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন করা হয়।
এর আগেই বুধবার তার মেয়ে আনা কোরিনা সোসা মায়ের পক্ষ থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ বছর নোবেল ইনস্টিটিউট মাচাদোকে পুরস্কৃত করেছে ‘ভেনেজুয়েলায় স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের লড়াইয়ের’ স্বীকৃতি হিসেবে।
মাচাদো ও তার সন্তানরা প্রায় দুই বছর ধরে আলাদা। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি তাদের ভেনেজুয়েলা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
ব্যালকনিতে উপস্থিতির পর বিবিসির লুসি হকিংসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদো জানান, তিনি তাদের গ্র্যাজুয়েশন এবং তার মেয়ে ও এক ছেলের বিয়েও মিস করেছেন। মাচাদো বলেন, প্রায় ১৬ মাস ধরে আমি কাউকে জড়িয়ে ধরতে বা স্পর্শ করতে পারিনি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমি সবচেয়ে প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি, তাদের ছুঁতে পেরেছি, কাঁদতে পেরেছি এবং একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পেরেছি।’
মাচাদো অনেক দিন ধরেই প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে ‘অপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছেন এবং ভেনেজুয়েলাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকে সরানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কামাল