জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা আট দলের বিজয় চাই না, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চাই। আমরা তাঁবেদারির বদলে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় না গিয়েও ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন অনেকে। বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। জনগণ ভোট দিক আর না দিক ক্ষমতায় তাদের যেতেই হবে। কিন্তু বাংলাদেশে আর এটা হবে না। তবে দিশাহারা হয়ে, হতাশ হয়ে কেউ যদি চোরা গলিতে হাঁটার চিন্তা করেন, তাহলে প্রয়োজনে আরেকটা ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। সেই ৫ আগস্ট আবার তাদের রুখে দেবে।’ গতকাল বিকালে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী বাবরী চত্বরে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৪ বছরে জনগণের লালিত স্বপ্ন অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়নি। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন হলেও এটা প্রকৃত উন্নয়ন নয়। দেশ জাতির মধ্যে ন্যায়বিচার ও সামাজিক সুশাসন আছে কি না সেটা বিবেচ্য।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, অনেকে বলেন আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নই। তারাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে হিসাবনিকাশ করে দেখেছেন তাদের পায়ের তলে মাটি সরে গেছে।’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। ’৭২-এর বাকশালপন্থি আর একভাগ ২০২৪ সালে বিপ্লবপন্থি শক্তি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহাত্মকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ প্রমুখ।