মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশ পুরোপুরি বন্ধ বলে গণ্য করার নির্দেশ দেওয়ার পর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান শিগগিরই শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলার আশপাশে মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স। উল্লেখ্য, গত শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সব বিমান সংস্থা, পাইলট, মাদক কারবারি এবং অন্যান্য অপরাধীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তথাকথিত ‘সোলিস কার্টেল’ নামের ভেনেজুয়েলার একটি সংগঠনকে মাদক-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেন। এই সংগঠনটি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করেছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এলাকায় ১০ হাজার সৈন্য ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পর গত কয়েক দশকের মধ্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড ডি ফোর্ডকেও দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরি; যার নিজস্ব এয়ার উইংয়ে রয়েছে ৭৫টির বেশি যুদ্ধবিমান, উড়োজাহাজ ও হামলার বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম বিমান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার ত্রিনিদাদে নোঙর করেছে; যা ভেনেজুয়েলা উপকূলের খুব কাছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন রণসজ্জার মাঝে ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাদুরোর সরকার। দেশজুড়ে হাজার হাজার সৈন্য ও রাশিয়ার তৈরি প্রায় পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির পাল্টা হিসেবে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভেনেজুয়েলা।