বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা আপাতত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালেই চলবে। তাঁকে বিদেশে নেওয়া হবে কি না সেটি তাঁর শারীরিক সুস্থতা ও মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। গতকাল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সপ্তাহখানেক ধরে এ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে ৮০ বছর বয়সি বিএনপি প্রধানের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দুই দিন ধরে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়ে আসছেন দলটির নেতারা।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন যে, খালেদা জিয়ার আরও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দরকার। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে ২৭ নভেম্বর সকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করছেন তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে এ হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত আছে এবং থাকবে বলে জানান ডা. জাহিদ। এ সময় হাসপাতাল এলাকায় ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের পাশাপাশি আরও অনেক রোগী ভর্তি আছেন। তাদের কারও চিকিৎসা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য যথাসম্ভব ভিড় কম করে যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া-প্রার্থনা করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার এ ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা ও মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। মেডিকেল বোর্ড এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।