প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই গণহত্যা মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত। তবে সেই প্রত্যর্পণের শুরুটা হবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে। গতকাল সমাজমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম লেখেন, তিনি বিশ্বাস করেন, জুলাইয়ের ঘটনাবলীর অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে এক দিন বাংলাদেশের আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। ভারত এরই মধ্যে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা শুরু করেছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা জানি, হাসিনার শক্তিশালী সমর্থক রয়েছে। তবু আমি ক্রমেই আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে, আসাদুজ্জামান খান কামাল যিনি ‘ঢাকার কসাই’ হিসেবে পরিচিত, খুব শিগগির বিচারের মুখোমুখি হতে বাংলাদেশে প্রত্যর্পিত হবেন। হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত অপরাধগুলো সম্পর্কে যত দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে। সেই সঙ্গে গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় কামালের ভূমিকা বৈশ্বিক গণমাধ্যমের আরও বেশি মনোযোগ পাবে।’
প্রেস সচিব লেখেন, ‘কামাল বা অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা যত অর্থই ব্যয় করুক না কেন, চিরদিন দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। আমরা জাতি হিসেবে যদি জুলাইয়ের গণহত্যার শিকারদের জন্য এবং হাসিনা আমলে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করতে দৃঢ় থাকতে পারি, তবে যারা এসব ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের পক্ষে পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া দিনদিন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এটি শুরু হবে কামালকে দিয়ে, এরপর একে একে।’