দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ২০০৮ সালে তার সম্পত্তির হিসাবে গোঁজামিল দিয়ে নির্বাচন করেছেন। সেটা যদি না হতো তাহলে তার নমিনেশন বাতিল হয়ে যেত। সেই সময় তার সম্পত্তির সঠিক হিসাব নেওয়া হয়নি। এরপর তিনটা নির্বাচনেও সঠিক হিসাব করা হয়নি। গতকাল হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। আবদুল মোমেন আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে দেখেশুনে নির্বাচিত করতে হবে। ভালো ব্যক্তিকে নির্বাচিত করলে ভালো প্রশাসক আসবে। গণশুনানিতে ট্রাকচালক নোমান মিয়া সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ তোলেন। দুদক চেয়ারম্যান অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দ্রুততম সময়ে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। লাখাইয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে কৃষিসেবা প্রদানে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে অন্যত্র বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ আসায় তার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অনিয়মসহ নানা অসংগতি উঠে আসে।
গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এ সময় হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধানসহ অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে জেলায় দুদকের ১০টি বুথ স্থাপন করা হলে প্রায় ২০০ অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে একই তফসিলভুক্ত অভিযোগ বাতিল করে প্রায় ৮৩টি অভিযোগের প্রকাশ্য শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।