জয়ব্রত দাসের ‘দি অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’ ছবির ‘আইটেম’ গানে হাস্যে-লাস্যে, শরীরী বিভঙ্গে মাতিয়ে দিয়েছেন দর্শনা। ইউটিউবে গানটি মুক্তি পেতেই প্রশংসা, নিন্দা দুই-ই জুটেছে তাঁর। দর্শনাকে গানের দৃশ্যে সুন্দর দেখিয়েছে, মত এই প্রজন্মের। অথচ আগের প্রজন্মের নেটাগরিকরা কু-মন্তব্য করেছেন। মজার কথা, ছবিতে গানটি বারবার শোনা গেলেও একবারও দর্শনাকে দেখা যায়নি। তাঁকে দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে ইউটিউবে। পর্দায় তাঁকে দেখানো হবে না জেনেও কেন রাজি হলেন দর্শনা? অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘বলিউডে তো হামেশাই এ রকম গান তৈরি হচ্ছে। এগুলোকে প্রচারধর্মী গান বলে। ইদানীং এ ধরনের গানের চাহিদা তৈরি হয়েছে। সে জন্যই রাজি হয়েছিলাম।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি আরিয়ান খানের প্রথম সিরিজ ‘দ্য ব্যার্ডস অব বলিউড’-এর কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘ওই সিরিজে তামান্না ভাটিয়ার ‘গফুর’ গানটাও ওই গোত্রের। গান হিট। গানের বদৌলতে তামান্নাও নতুন করে জনপ্রিয়।’ তা ছাড়া, লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া পুরোনো গানটিও তাঁর বেশ পছন্দের। এ রকম একটি গানের অংশ হওয়ার সুযোগ আসায় তিনি এককথায় রাজি হন। ‘এটা বলতে পারেন, এ ধরনের গান এবং তাতে স্বল্পবাসে আমার উপস্থিতি এই প্রথম’, বলেছেন তিনি। দর্শনার কণ্ঠে উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট। তিনি বললেন, ‘ছবিতে আমি কোন দৃশ্যে অভিনয় করব বা কী ধরনের পোশাক পরব, সেটা কিন্তু বাবা বা সৌরভ ঠিক করে দেন না। আমার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।’ তিনি আবারও দৃষ্টান্ত দেখান বলিউডসহ দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার ছবির। ‘‘আমাদের দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে স্বল্পবাসে ‘আইটেম ডান্স’ হয়। বাংলায় হলে সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন তুললেন দর্শনা।