ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত আরও ৬টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর তিন ভাইপোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ক্যারিবীয় উপকূলে মার্কিন রণতরী মোতায়েনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের নেওয়া একের পর এক পদক্ষেপ আর নতুন করে ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে প্রথমবারের মতো বিশাল তেলবাহী ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকার জব্দের একদিন পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, জব্দকৃত ওই তেলবাহী ট্যাংকারটি মার্কিন বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। জাহাজটিতে করে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত তেল অবৈধভাবে বহন করা হচ্ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জাহাজটির তেল জব্দ করতে চায় বলেও জানান লেভিট।
এর মধ্যেই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত আরও ৬টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ৩০টির বেশি তেলবাহী জাহাজ নতুন করে শাস্তির মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর তিন ভাইপোও। মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
তেলবাহী ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় ওয়াশিংটনকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছে কারাকাস। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘চুরি’ ও আন্তর্জাতিক জলদস্যুতার অভিযোগ তুলেছে ভেনেজুয়েলা। ওয়াশিংটনের সব পদক্ষেপই দেশটির জ্বালানি সম্পদ দখলের পরিকল্পনার অংশ বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম