১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত থেকেই শহরের বর্তমান কৃষিফার্ম এলাকায় অ্যাম্বুশ পেতে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত অবিরাম যুদ্ধ চলে। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের নৈপুণ্যে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সেদিন নেত্রকোনা মুক্ত করতে সম্মুখ সমরে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন, আবু খাঁ, আব্দুস সাত্তার ও আব্দুর রশিদ। এর আগে মুক্তিযোদ্ধারা ৮ ডিসেম্বরও তিনদিক থেকে পাক সেনা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ চালায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার হায়দার জাহান চৌধুরী ৭১-এর ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধারা দাবি জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা তুলে ধরতে হবে। এ জন্য শুধু একদিনের আয়োজনে মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরের অন্যান্য দিনেও উদ্যোগ নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সঠিক ইতিহাস নিয়ে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেয়ারও দাবি জানান তারা।
তথ্যানুযায়ী, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেত্রকোনা জেলায় ৩ হাজার ৪২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে শহীদ হন ৬৬ জন।
বিডি-প্রতিদিন/এমই