মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়ের সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশে। এছাড়া এখানকার লাল গুড়ের চাহিদাও অনেক। প্রতি বছরের মতো এবারো গাছিরা গুড় তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলার সর্বত্রই খেজুরের গুড় তৈরি হয়ে থাকে। তবে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকার গুড় অন্যতম।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাছিরা খেজুরগাছে রস সংগ্রহের জন্য হাড়ি, রস জ্বালানোর পাত্র, চুলা, গাছ ঝোড়ার ধারালো ছ্যানসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি করছেন। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও সমান ব্যস্ত।
কয়েকটি পরিবার ইতোমধ্যে গুড় জ্বালানো শুরু করলেও বড় পরিসরে উৎপাদন শুরু হতে আরও ১৫–২০ দিন সময় লাগবে বলে জানান স্থানীয় গাছিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, মানিকগঞ্জে ৫২ হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছে খেজুরগাছ। মোট গাছের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪৫৩টি।
ঝিটকার গাছি মিজান হাজারী বলেন, এবার কিছুটা দেরিতে গাছ ঝোড়া হচ্ছে। তবে শিগগিরই গুড় তৈরির কাজ শুরু হবে। চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় নতুন করে চারা রোপণও বাড়ছে।
একজন গাছি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঝিটকার আসল গুড় তৈরি না হলেও বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল গুড় বিক্রি করছেন। এতে হাজারী গুড়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝিটকা হাটের গুড় ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, নকল গুড় বিক্রি রোধে ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। কেউ নকল গুড় বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল