রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার সব ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর বিজন কুমার বোস এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজ কাজী ইরাদত আলীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে তদন্ত করেন। তদন্তে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার খোঁজ পাওয়া যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, তদন্তের সময় দেখা যায় যে, তিনি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয় করার চেষ্টা করছেন, যা রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কাজী ইরাদত আলী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়।
জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- কাজী ইরাদত আলী, তার স্ত্রী রাবেয়া পারভীন, ছেলে ও মেয়ের ৪৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কাজী ইরাদত আলীর ছেলে কাজী রবিকুল হোসেন ও তার স্ত্রী আফসানা নাওমীর চারটি সঞ্চয়পত্র এবং চারটি ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব, ডেভোলপার কোম্পানির পরিচালিত ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন মডেলের সাতটি গাড়ি ও গোল্ডেশিয়া জুট মিলের জমিসহ ৪৭টি দলিলভুক্ত সম্পত্তি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর বিজন কুমার বোস জানান, অনুসন্ধানের পর আদালতে আবেদন করলে রাজবাড়ী স্পেশাল জজ কোর্টের বিচারক কাজী ইরাদত আলীর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযুক্ত কাজী ইরাদত আলীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল