পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে আহত একটি নিশি বক উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার রাত এটিকে ইলিশ পার্ক এলাকার নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও বন বিভাগের গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উপরার সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে মৎস্য বন্দর আলিপুরের একটি মুরগির দোকান থেকে অসুস্থ অবস্থায় এ নিশি বকটিকে উদ্ধার করা হয়।পরে তারা দিনভর প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শেষে বনকর্মীদের সহযোগিতায় বকটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেন।
এ প্রজাতির বক সচারাচার দেখা মেলে না।
স্থানীয়রা নিশিবক পাখি হিসেবেই চেনেন। নিশিবক পাখি দিনে ঘুমায়, আর রাত হলে উড়ে বেড়ায় খাবারের সন্ধানে। এরা রাতে পানির ধারে কোনো গাছের ডাল পালায় ধ্যানমগ্ন হয়ে সুযোগ বুঝে মাছ ধরে খায়। তবে অতিনগরায়ন, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও পাখিদের আবাসস্থল না থাকায় এসব পাখি প্রায়ই বিলুপ্তির পথে এমনটাই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
উপরার আহ্বাক কে এম বাচ্চু বলেন, বন্যপ্রাণী প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উপকূলীয় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন। জনসচেতনতা বাড়লে এ ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উদ্ধারকৃত নিশি বকটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা একে এম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ ধরনের পাখি আটক, বিক্রি বা শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোথাও বন্যপ্রাণী আটক থাকতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম