বগুড়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ক্যাম্পাস চত্বরে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
দেশীয় জাত আধুনিক প্রযুক্তি, প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি প্রতিপাদ্যে সদর উপজেলার সকল পর্যায়ের খামারি, উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠান ৪০টি স্টলে তাদের প্রাণী, প্রযুক্তি ও সফলতার কার্যক্রম দিনব্যাপী প্রদর্শনী করে।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। এর আগে, সকাল বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে নুরানি মোড় ঘুরে প্রদর্শনী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, একজন উদ্যোক্তা অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। চাকরির পিছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হতে হবে। চাকরি নয় বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জেদান আল মুসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াজেদ, জেলা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন সভাপতি নুরুল হুদা তিলক, সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. সোহেল আলম খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. রায়হান।
জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম, ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্কুল মিল্ক ফিডিং, নারী উদ্যোক্তা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চলবে।
এদিন প্রদর্শনী উদ্বোধন, পরিদর্শন, আলোচনা সভা ও মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। নারী উদ্যোক্তা, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রক্রিয়াজাত ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী, ভ্যাকসিন/টিকা, ওষুধ খাদ্যের প্রযুক্তি, উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ ফ্রি সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় খামারিদের উদ্বুদ্ধ করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার মাধ্যমে খামারিরা ভবিষ্যতে এই খাতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই