চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহতরা হলেন- কেরু শ্রমিক আব্দুল মোতালেব (৫০), রবিউল ইসলাম (৪৮), উজ্জ্বল হোসেন (৪০), সাইফুল ইসলাম মকুল (৫০), হিরোক আলী (৪৮), রাসেল উদ্দিন টগর (৫০) ও বহিরাগত মো. সালাউদ্দিন (৩৫)। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্সের নেতৃত্বে পূর্বঘোষিত নির্বাচন দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ তার সমর্থকদের নিয়ে কেরু কোম্পানির অফিসে প্রবেশ করে।
অভিযোগ রয়েছে, বহিরাগত কয়েকজন ব্যক্তি অফিসে ঢুকে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক মোতালেবের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা শুরু হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে দর্শনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনা সদস্যদের একটি দলও অভিযানে যোগ দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, দুই পক্ষকে আলোচনা করতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অফিসে ঢোকার পর এক পক্ষ হঠাৎ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। আমাকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলা হচ্ছে- এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। শ্রম আইনে ইউনিয়ন নির্বাচনে এমডির হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সুলতান মাহমুদ বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত, তবে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল