গুচ্ছ গ্রাম। ভূমিহীন মানুষের স্বপ্ন-নিজস্ব ঠিকানা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গুচ্ছগ্রামের পরিবারগুলোর সে স্বপ্ন রূপ নিয়েছে দুঃস্বপ্নে। ঘর হস্তান্তরের ১৫ বছর পরও বাসিন্দারা পাননি কোনো মৌলিক সুযোগসুবিধা। ভাঙাচোরা ঘর, কাঁচা রাস্তা, নোংরা পরিবেশ, জলাবদ্ধতা আর শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এখানকার ৩০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ। ২০০৮ সালে বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে সাড়ে ছয় বিঘা জমির ওপর সরকারি উদ্যোগে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত হয় দুই কক্ষবিশিষ্ট ৩০টি টিনশেড ঘর ও একটি ক্লাবঘর। ২০১০ সালে এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরও করা হয়। নিম্নমানের সামগ্রী, অপরিকল্পিত নির্মাণ ও দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঘরগুলো কয়েক বছরের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, রামনগর গুচ্ছগ্রামের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। খুব দ্রুত সরেজমিনে গিয়ে কী ধরনের উন্নয়ন প্রয়োজন তা করা হবে। এই পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত- বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক ঘরের টিনের চালা নেই। কোথাও দেয়ালে বড় ফাটল ধরেছে। মেঝে ধসে গেছে কোনো কোনো ঘরের। বৃষ্টির সময় হাঁটু পানি জমে ঘরের ভিতর। সামনে ফাঁকা জায়গায় পানি স্থায়ীভাবে জমে থাকায় চারপাশে ছড়ায় দুর্গন্ধ। উপদ্রব বেড়েছে মশা-মাছির। বর্ষায় মৌসুমে কাঁচা রাস্তা কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। শিশু, রোগী, গর্ভবতী নারীসহ সবার চলাচল হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বাসিন্দা তসলিমা বেগম বলেন, আমরা যেন অন্য দেশের কোনো মানুষের মতো পড়ে আছি। ভোটার কার্ড ছাড়া ১৫ বছরে কিছুই পাইনি। সরকারি কার্ড, ভাতা-এসব আমাদের কাছে কেবল স্বপ্ন। বৃদ্ধ আজিমদ্দি বলেন, শুনি সরকার নাকি শীতার্তদের কম্বল দিচ্ছে। আমাদের ভাগ্যে-তো কিছুই জোটে না। গত শীতে ছেঁড়া কাঁথা ও পুরোনো চট দিয়ে রাত কাটিয়েছি। এবার কাঁথাটাও আর নেই। শিলা খাতুন বলেন, এখানে অনেক তরুণ-তরুণী আছে। কেউ কেউ অল্পশিক্ষিত। কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিলে আমরা নিজেরাই ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম। সরকারের কাছে আমাদের এটাই প্রত্যাশা। বাসিন্দাদের দাবি, শুধু ঘর নয়; পুনর্বাসন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল এসব পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলা। দেড় দশকেও তারা পাননি কোনো প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সহায়তা, এমনকি সরকারি ভাতা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও বিশেষ সহায়তা মেলেনি অভিযোগ তাদের। বাসিন্দাদের দাবি জরুরি ভিত্তিতে গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো সংস্কার, একমাত্র রাস্তা পাকাকরণ, নারীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ, যুবকদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ত্রাণ, ভাতা ও কার্ডের অন্তর্ভুক্তি করা।
শিরোনাম
- ৩০০ আসনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
গুচ্ছ গ্রামে মানবেতর জীবন
১৫ বছরেও মেলেনি মৌলিক সুযোগসুবিধা ভাঙাচোরা ঘর কাঁচা রাস্তা নোংরা পরিবেশ
মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর