বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনে (বিটিআরসি) মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ, মতামত জেনে তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে গণশুনানির আয়োজন করে আসছে বিটিআরসি।
এরই ধারবাহিকতায় গতকাল অনলাইনে গণশুনানির আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যেখানে মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অজান্তে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস চালু করে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। সময়ে-অসময়ে অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসের নামে বিরক্তিকর ফোনকলের অভিযোগও আসে শুনানিতে। ডেটার মূল্য নিয়ে আপত্তি তোলেন গ্রাহকরা। নেটওয়ার্ক দুর্বলতায় ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোগান্তির অভিযোগ করেন অনেকে।
সিম রিপ্লেস ফি ৩৪৫ টাকা নিয়েও ক্ষোভ জানানো হয়। না জানিয়েই সিম রিসাইকেলের অভিযোগ করেন এক গ্রাহক।
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কলরেট ৪৫ পয়সা থেকে কমানোর দাবি জানান কেউ কেউ।
বিটিআরসি বলছে, গণশুনানি উপলক্ষে দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক বলেন, টাকা কাটা যাবে এমন যে কোনো সার্ভিস যদি অপারেটর চালু করে, তবে সেটার অনুমতি নেওয়া হয়। যদি অনুমতি ছাড়া এটা চালু করে, তবে অভিযোগ জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের সচল সিম সংখ্যা ১৮ কোটি ৮০ লাখ। ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে চারটি অপারেটর।
শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক। পরিচালনা করেন লাইসেন্সিং ও স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুল হক।