জাপানে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রমী ‘হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন’-এর বাণিজ্যিক উৎপাদন। বিশ্ব এক্সপোতে নজর কাড়ার পর অবশেষে জাপানের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই মানব–ধোয়া মেশিনটি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সায়েন্স-এর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এই অভিনব মেশিনে ব্যবহারকারীরা একটি বিশেষ পডের ভেতর শুয়ে দরজা বন্ধ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরো শরীর পরিষ্কার হয়ে যায়। কাপড় ধোয়ার মেশিনের মতো কাজ করলেও এতে স্পিন করার ব্যবস্থা নেই। শরীর পরিষ্কার হওয়ার সময় ব্যবহারকারীর জন্য সঙ্গীত শোনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
ছয় মাসব্যাপী ওসাকা এক্সপোতে প্রদর্শিত এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ‘হিউম্যান ওয়াশার’ প্রোটোটাইপ ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড় হয়েছিল। ১৯৭০ সালে একই শহরের এক্সপোতে প্রদর্শিত পুরনো মডেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন সংস্করণটি তৈরি করা হয়েছে।
সায়েন্সের মুখপাত্র সাচিকো মায়েকুরা জানান, তাদের কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭০ সালের সেই মেশিন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তার দাবি, নতুন এই মেশিন শুধু শরীরই নয়, মনকেও পরিষ্কার করে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীর হার্টবিটসহ গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্যও মনিটর করতে পারে।
মেশিনটির জনপ্রিয়তা দেখে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিসোর্ট প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য যোগাযোগ করে। এরপরই সায়েন্স কোম্পানি বাস্তব উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে ওসাকার একটি হোটেল প্রথম ইউনিটটি কিনেছে এবং অতিথিদের জন্য সেবা চালুর প্রস্তুতি চলছে।
গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে জাপানের বড় ইলেকট্রনিক্স রিটেইলার ইয়ামাদা ডেনকিও মেশিনটি অর্ডার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিশেষত্ব বজায় রাখতে মাত্র ৫০টি ইউনিট উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, হিউম্যান ওয়াশিং মেশিনটির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ইয়েন, যা প্রায় ৩৮৫,০০০ ডলার।
সোর্স: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আশিক