সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বের হচ্ছিলেন লিটন দাস। এক সাংবাদিক শুভকামনা জানালে সাধারণত হাসিমুখে জবাব দেন তিনি, কিন্তু আজ সম্পূর্ণ নীরব—সোজা চলে গেলেন ড্রেসিংরুমের দিকে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের এই সংবাদ সম্মেলনে লিটন যা বললেন, সেটি ছিল অস্বাভাবিকভাবে সরাসরি। একজন অধিনায়ক হিসেবে এতটা খোলামেলা ক্ষোভ প্রকাশ সচরাচর দেখা যায় না।
ক্ষোভের সূত্রপাত হয় শামীম হোসেনকে দল থেকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে করা প্রশ্নে। শামীমের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেও, বাদ দেওয়ার বিষয়টি অধিনায়ক জানতেন কি না জানতে চাইতেই লিটনের শক্ত প্রতিক্রিয়া: ‘দেখেন, শামীম থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। এটা আমার কল না, পুরোপুরি নির্বাচকদের কল। আমাকে কোনো নোটিশ না করেই শামীমকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, উইদাউট অ্যানি নোটিশ।’
এরপরই দল নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি—‘আমি এত দিন জানতাম, একটা দল যখন মানুষ হ্যান্ডেল করে, অন্তত অধিনায়ক জানে—কে ঢুকবে, কে আউট হবে।’
শামীমের জায়গায় দলে আসা মাহিদুল ইসলামসহ মিডল অর্ডারে সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, নুরুল হাসান—সকলেই ডানহাতি। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে লিটন বলেন—
‘গুড পয়েন্ট! আপনার মাথায় যে বুদ্ধিটা এসেছে, সেটা যদি আমাদের ওপর থেকে আসত, ভালো হতো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাইট–লেফট কম্বিনেশন জরুরি।’
ব্যক্তিগতভাবে শামীমকে সমর্থন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশও করেন অধিনায়ক—‘শামীম একসময় দুই–তিনটা সিরিজে এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্রিকেট খেলেছে। এমন সময়ে বাদ পড়া ওর জন্য হতাশাজনক। অধিনায়ক হিসেবে আমি সরি ছাড়া কিছু বলতে পারব না। সব খেলোয়াড়ের কাছে সব সময় পারফরম্যান্স আশা করা যায় না।’
এখানেই থামেননি লিটন। আরও জানান, ‘আমাকে পুরোপুরি বলা হয়েছে নির্বাচক প্যানেল, বোর্ড থেকে—আমাকে যে দলটা দেওয়া হবে, সেই দল নিয়েই কাজ করতে হবে। কোন খেলোয়াড়কে চাই বা না চাই—আমার এখানেই কোনো কথা নেই।’
অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন কি না—এমন প্রশ্নে শুধু ছোট একটি উত্তর—‘ওটা পরে দেখা যাবে।’
আগামীকাল চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
বিডি প্রতিদিন/আশিক