আবদুল কাদের-বানু দম্পতির পাঁচ জামাতার মধ্যে চার জামাতার নামই চাঁন মিয়া। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও সত্য। ঘটনাটি রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নে। জানা গেছে, সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের সর্দ্দারপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের ওরফে পচা মিয়া ও তার স্ত্রী বাহার বানুর পাঁচ মেয়ে, দুই ছেলে। সবার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রমী ঘটনা হচ্ছে পাঁচ মেয়ের মধ্যে চার মেয়ের স্বামীর নামই চাঁন মিয়া।
আবদুল কাদের ও বাহার বানু জানান, তাদের বড় মেয়ে শিউলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে একই ইউনিয়নের জানকী ধাপের হাট গুয়াতিপাড়া গ্রামের মৃত রহিম মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় মেয়ে বেলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে মিঠাপুকুর উপজেলার বরিগঞ্জ গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মো. চাঁন মিয়ার সঙ্গে, তৃতীয় মেয়ে লিপি বেগমের সঙ্গে সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের সদ্যপুস্করণী জয়রাম গ্রামের মৃত আবু তালেব মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়ার এবং পঞ্চম মেয়ে শ্যামলি আক্তারের সঙ্গে সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের ভেলু গ্রামের মৃত আফছার মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়ার বিয়ে হয়। আর চতুর্থ মেয়ে ফেরদৌসি আক্তারের বিয়ে হয়েছে মিঠাপুকুর উপজেলার কুটিপাড়া গ্রামের নোরল হকের ছেলে পলাশ মিয়ার সঙ্গে। এ দম্পতি বলেন, পাঁচ মেয়েকে ভালো এবং স্বনামধন্য পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। কাকতালীয়ভাবে পাঁচ জমাইয়ের মধ্যে চারজনের নামই এক। তবে এটা নিয়ে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না। চার চাঁন মিয়ার মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে জানান এই দম্পতি। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন, দেলদার, রাশিদুল ও মোসলেম বলেন, এটা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। একজনের পাঁচ জামাতার মধ্যে চারজনের নামই চাঁন মিয়া। এটা শোনার পর আমরা অবাক হয়েছি। তাদের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে লেখার দাবি জানাচ্ছি।