হেমন্তের ফুল হিমঝুরি। এ ফুলটি বেশ দুষ্প্রাপ্য। গাছও বেশ উঁচু। চিরসবুজ গাছটির ফুল মধুগন্ধী। রাতে ফোটে আর ভোরের আগেই ঝরে যায়। সকালে গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ালে অনেকটা রজনিগন্ধা ফুলের সামনের দিকের অংশের মতো চোখে পড়বে। গতকাল সকালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের বৃন্দাবন খ্যাত এলাকায় চোখে পড়ল ফুল গাছটি। ফুল এবং গাছটি সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সহপরিচালক, রংপুরের মিঠাপুকুর পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, হিমঝুরি ফুল সাদা ও নলাকার। পাঁচটি খুদে পাপড়ি মিলে মনে হবে যেন একটি তারা। ফলগুলো সরু ও লম্বা। আগাগোড়া ছুঁচালো হয়ে থাকে। বীজে ভরা থাকে। বীজগুলো ঈষৎ স্বচ্ছ পাখনাঘেরা। যে কারণে উড়ুক্কু (উড়ে যেতে পারে) ও দূরগামী। গাছ ছায়াঘন নয়। শিকড় অগভীর হওয়ায় ঝড়ে উপড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। পথতরু হিসেবে অনুপযোগী। বীজ ছাড়াও গাছের শিকড়ে গজানো চারা (বেশ দূরে) থেকেই বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি হিমঝুরি গাছ বেড়ে উঠছে। ফুল পেতে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে এমনটি জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রকৃতিপ্রেমী ড. তুহিন ওয়াদুদ।