দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই। উপরন্তু বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মায়ের এমন সংকটকালে মায়ের পাশে নেই ছেলে তারেক রহমান। দেশে ফেরা নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে তারেক রহমান ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। তবে অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এ বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এ পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়ামাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’ তারেক রহমানের ওই পোস্টের পর বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান প্রশ্নের জন্ম দেয়। এ ব্যাপারে শফিকুল আলম জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তর হচ্ছে-এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই।